টি এম কামাল: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর সব পয়েন্টে পানি বেড়েই চলেছে, বইছে বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার সকাল ৬টার সময় বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
একই সময় জেলার উত্তরে যমুনা নদীর কাজিপুর পয়েন্টে পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং নদীর ভাটি অঞ্চল শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি ঘাট পয়েন্টে পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) গজ রিডার আব্দুল লতিফ ও খন্দকার সুলতান মাহমুদ এই তথ্য জানান।
সিরাজগঞ্জে সব পয়েন্টে যমুুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চলনবিলসহ ইছামতি, করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীর পানি বেড়েই চলেছে।
এতে নদীতীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত
মাসের ১৩ তারিখ থেকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত ২১ দিনে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কমপক্ষে ৪০টি ইউনিয়নের এক লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পানি বৃদ্ধির সাথে নদী ভাঙনে দিশেহারা নদীতীরবর্তী মানুষ।
কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেয়ায় চরাঞ্চলের শহর হিসেবে পরিচিত নাটুয়াপাড়া বাজার ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে নাটুয়ারপাড়া বাজার রক্ষায় নির্মিত বাঁধের মাটির অংশের ৭০ ফুট ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বুধবার রাত থেকে ওই বাঁধে ধস দেখা দেয়। বাঁধটি সম্পূর্ণ ধসে গেলে বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, পুলিশ ফাঁড়ি, ডাকবাংলো, নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজসহ নানা স্থাপনা ও ১৫টি গ্রাম হুমকির মুখে পড়বে।