দ্বীন মোহাম্মাদ সাব্বির:
কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা একদিনের ব্যাবধানে বেড়েছে ১১সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গো-খামারিরা। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ, ভীতিও কাজ করছে নদী তীরবর্তী এলাকা গুলোতে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরাও।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১১সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ঘন্টায় ১১সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা আছে। আমরা নিয়মিত পানির খোঁজ খবর রাখছি। তিনি আরও বলেন, ৫টি উপজেলায় ১’শ মেট্রিকটন চাল ও ১লক্ষ করে নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করবেন। এছাড়াও জেলায় ৭৬ মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লক্ষ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। কোনও এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়মিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।