এস,এম,হাবিবুল হাসান : সাতক্ষীরা সদরে গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার সমস্ত নিচু এলাকাও এখন পানির নিচে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং একইসাথে বৃষ্টি না কমায় জলাবদ্ধতার কবলে থাকা এলাকগুলোতে নতুন করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পথঘাট, ডোবা, নালা পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের কামালনগর, ইটাগাছা, খড়িবিলা, বদ্যিপুর কলোনী,কাটিয়া মাঠপাড়া, শহরতলীর বকচরা,মাগুরা,তালতলা, কাশেমপুর, সরকারপাড়া, আমতলার মোড় সবই এখন পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি অপসারণের কোন পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি বাড়িঘওে উঠতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রাণসায়ের খালও পানি টানতে পারছে না। সদ্য খননকৃত খালের দু’পাশের মাটি ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে।

এদিকে, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অতিবৃষ্টির ফলে গদাইবিল, ছাগলার বিল, শাল্যের বিল, বিনেরপোতার বিল, রাজনগরের বিল, মাছখোলার বিলসহ কমপক্ষে ২০টি বিলে পানি থই থই করছে। এসব বিলের মাছের ঘের ভেসে গেছে। বেতনা নদী তীরবর্তী এই বিলগুলির পানি নদীতে নিষ্কাশিত হতে পারছে না। এই পানি পৌরসভার দিকে এগিয়ে আসছে। অতিবৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলের সব পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। বেরিয়ে গেছে শত শত টাকার মাছ। এছাড়া কাচা ঘরবাড়ি রয়েছে ঝুকির মধ্যে। সবজি ক্ষেতগুলি পানিতে টইটুম্বুর। মানুষের যাতায়াতও ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ঘোষপড়া, হাচিমপুর, রাজবাড়ী, হাজীপুর পাথরঘাটা, বিহারীনগরসহ অধিকাংশ এলাকায় পানি থই থই করছে। এছাড়া ঘোনা, বৈকারী ও হাড়দ্দহ এলাকায় পানিতে থই থই করছে। আমন ধানের বীজতলা ও নতুন লাগানো ধান পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মো.হুমায়ন কবির এক পত্রে জানান, অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে জনদূর্ভোগ লাঘবে সাতক্ষীরা জেলায় সকল অবৈধ নেট-পাটা স্থাপনকারীদেরকে স্ব-উদ্যোগে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নেট-পাটা অপসারণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় নেট-পাটা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।