জিয়াউদ্দিন লিটন স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শেরপুরে হাটে-বাজারে দেশীয় এবং কার্পূ প্রজাতির মাছের আমদানি পর্যাপ্ত হলেও উচ্চমূল্য থাকায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস।
মৎস্য শিকারিরা প্রতিদিনই জাল ফেলেছে এবং তাদের জালে প্রতিদিন ধরা পড়ছে দেশীয় জাতের হরেক রকমের মাছ। এসব মাছ উপজেলার হাটে-বাজারে প্রচুর আমদানী করা হচ্ছে।বেচা বিক্রিতেও খুশি জেলে সম্প্রদারে মানুষ। দাম ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে থাকলেও দেশীয় মাছ কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করাগেছে।
হলহলিয়া, বাঙ্গালী, ভাদাই(ভদ্রাবতী), ফুলজোড় ও করতোয়া নদী বেষ্টিত উপজেলা শেরপুর। জেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটারদক্ষিণে এই উপজেলার অবস্থান। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল। এসব নদী নালা ও খালবিলেপ্রতিদিন জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন বিপুল পরিমাণ দেশীয় মাছ মোয়া, পাতাশী, পুঁটি, টেংরা,চিংড়ি, শিং, মাগুর, বোয়াল, কই, শাটি, বেলে, গুচি, বাইম, শোল তাদের জালে ধরে উপজেলারবিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে।
এছাড়াও রয়েছে ইলিশ এবং কার্পু জাতীয় মাছ। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্নবাজার ও শেরপুর বরদুয়ারী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ওই হাটে প্রায় ৫০ জন জেলে দেশীয় জাতেরমাছ বিক্রি করছে। মাছের আকার ও আকৃতির উপর মূল্য নির্ধারণ করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দেশীয়জাতের মাছ। তবে গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে দেশীয় মাছের প্রচুর আমদানী হলেও দাম যেন ক্রেতাদেরনাগালের বাহিরে। প্রতি কেজি বোয়াল মাছ আকৃতি অনুযায়ী ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজারটাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার মোয়া, পাতাশী, টেংরা প্রতি কেজি ৬শ টাকা থেকে ৭শটাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিং ও মাগুর ৬শ টাকা থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি কই, শাটি,বেলে ২শ টাকা থেকে ৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বাইম, শোল ৫শ টাকা থেকে ৭শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।এ বিষয়ে শেরপুর হাটে মাছ কিনতে আসা বগুড়া শহরের টাউন কলোনি এলাকার জহুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম , উত্তরশাহা পাড়া এলাকার রায়হান কবীর, পালপাড়ার জাহাঙ্গীর , খেজুতলা এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুলবাসেদ, ধুনট রোড এলাকার রুবেল, আকতার হোসেন জানান, তারা প্রায়ই নদীর টাটকা মাছ কেনারজন্য শেরপুর হাট ও রেজিস্ট্রি অফিস বাজারে আসেন। তারা আরও জানান, শহরের তুলনায় গ্রামেমাছের দাম বেশি। তবে মাছ পাওয়া যায় টাটকা।
এ বিষয়ে শেরপুর বারদুয়ারীহাট, রেজিস্ট্রি অফিস বাজার, গাড়িদহ বাজার, বটতলা বাজার সহ অন্যান্য বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরাজানায়, নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিদিন হলহলিয়া, বাঙ্গালী, ভাদাই (ভদ্রাবতী),ফুলজোড় ও করতোয়া নদীতে প্রচুর দেশী মাছ ধরা পড়ছে। আমদানী বেশী হলেও বেশী দামে তাদেরমাছ কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রি করতেও হচ্ছে একটু বেশী দামে। এতে তাদের লাভও হচ্ছে বেশভালো। উল্লেখ্য, প্রতিদিন উপজেলা শহর সহ আশ পাশের গ্রামের অসংখ্য মানুষ দেশী মাছ কেনারজন্য মোটর সাইকেল, সি এন জি, অটোরিকশা যোগে শেরপুরের হাটে-বাজারে আসে।