জিয়াউদ্দিন লিটন: স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার শেরপুরের বিভিন্ন নদী ও খাল-বিলে অবৈধ সুতি ও চায়না জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। এতে দেশীয় মাছের সংকটের আশংকা করছেন সচেতন মহল।
জেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এই উপজেলার অবস্থান। হলহলিয়া, বাঙ্গালী, ভাদাই(ভদ্রাবতী), ফুলজোড় ও করতোয়া নদী বেষ্টিত উপজেলা শেরপুর। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল এবং উন্মুক্ত জলাশয়। এসব নদী নালা ও খালবিলে প্রতিদিন জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন সুতি ও চায়না জাল ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মাছ মোয়া, পাতাশী, পুঁটি, টেংরা, চিংড়ি, শিং, মাগুর, বোয়াল, কই, শাটি, বেলে, গুচি, বাইম, শোল তাদের জালে ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করছে।উপজেলার মির্জাপুর, গাড়ীদহ, খামারকান্দি, খানপুর, সুঘাট, সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অধিক মাছের লোভে মৎস্যশিকারীরা এ ধরনের জাল ব্যবহার করছে যাতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ছোট আকারের পোনাও ধরা পড়ছে।
পরে তা বিক্রি করা হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে। এতে করে নদী ও খাল বিলে দেশীয় মাছের সংকট হওয়ার আংশকা সৃষ্টি হয়েছে।উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের বাবুল আক্তার, রাশেদ সরকার জানান, এসব জালের ব্যবহার বন্ধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি। তারপরও কোন লাভ হয়নি। এখনো এসব জালের ব্যবহার হচ্ছেই।
উপজেলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি অবিনাশ চন্দ্র সরকার বলেন কারেন্ট এবং চায়না জাল ব্যবহারের ফলে মুক্ত জলাশয়গুলো মাছ শুন্য হয়ে পড়ছে। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করা দরকার।এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। শীঘ্রই এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।