ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বাজারে বিক্রী হচ্ছে যমুনা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিড়ি। এমনই খবর পাওয়া গেছে
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ি বাজারের পীরবাড়ি রোডে বাসুদেবপুর এলাকায়।
সেখান থেকে ২৯ বস্তা বিড়ি জব্দ করে স্যানিটারি দপ্তর। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, চামড়া ছিলে নেয়া ও হত্যার হুমকি দেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও স্যানিটারি ইন্সপেক্টের ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল জগন্নাথ বাসুদেবপুর এলাকার জতীশের বাড়ি থেকে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সাড়ে ২৯ বস্তা বিড়ি আটক করেন।
পরে আটককৃত বিড়ি জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলাল মাস্টার ও স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর ফারুক হোসেন স্থানীয় যুবলীগ নেতার যোগ সাজসে টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে ১৫ বস্তা বিড়ি জতীশ চন্দ্রের সহযোগী নুকুলকে দিয়ে দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইউপি সদস্য বাবুল অভিযোগ করে বলেন, জব্দকৃত সাড়ে ২৯ বস্তার মধ্যে ১৫ বস্তা বিড়ি কীভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে চেয়ারম্যান সঠিক উত্তর দিতে বা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
অর্থের বিনিময়ে ইউপি চেয়ারম্যান, স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের যোগসাজশে ওই ১৫ বস্তা বিড়ি ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। একই অভিযোগ করেন জালাল, রশিদুলসহ অনেকে।