জিয়াউল হক, স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার ধুনটে খেলায় জিততে ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায় তারা খেলায় জেতার জন্য এগারো জন খেলোয়াড়ের মধ্যে আটজন অছাত্র ও বহিরাগত খেলোয়াড় মাঠে নামান। জার্সি পরিধানের নামে তারা খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা পর্যায়ে ৫০ তম স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর সমাপনী খেলায় ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এই অসদুপায় অবলম্বন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায় গ্রীষ্মকালীন সমাপনী ফুটবল ফাইনাল খেলায় ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় গোপাল নগর ইউ এ কে উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাইনাল খেলা শুরু হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে ধুনট নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বাদ পড়া খেলোয়াড়রা কানাঘুঁষা করতে থাকেন। তারা বলেন তালিকায় তাদের নাম থাকা সত্বেও তাদের বাদ দিয়ে বহিরাগত খেলোয়াড় মাঠে নামানো হয়েছে। এক’কান দু’কান করে এই তথ্য খেলা পরিচালনা কমিটির কানে পৌঁছ। কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দেখেন ধুনট নঈম উদ্দিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত খেলোয়াড় তালিকায় নাম ঠিক থাকলেও এরমধ্যে মাঠে খেলারত আটজনই ছিল বহিরাগত। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেন। খেলা দেখতে আসা উৎসুক জনতা ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা গোলাম সোবহান বলেন-“সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা এই জঘন্য কাজ করেছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় এরসাথে জড়িত অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হট্টগোল শুরু হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খেলা স্থগিত করে বিধি অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী টিম গোপাল নগর ইউ এ কে উচ্চ বিদ্যালয়কে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ-প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “তালিকা বহির্ভূত খেলোয়াড় মাঠে নামানো নিয়মবহির্ভূত। এই হীন কাজ করায় তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধতন কতৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে”। ধুনট সরকারি নঈম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজ উদ্দিন বলেন-“তালিকা বহির্ভূত খেলোয়াড় মাঠে নামানোর বিষয়ে আমার জানা ছিল না”। এ-বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মুহম্মদ আসিফ ইকবাল সনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খাঁন শরিফ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সোবহান, শফিকুল ইসলাম শফি, বজলুর রশিদ,জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র সাহা,ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আল আমিন,জালশুকা মোজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজিনা বেগম,গোপাল নগর ইউ এ কে উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রভাষক আলীম আল রাজি বুলেট,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি সহ অত্র উপজেলার শিক্ষক শিক্ষার্থী বৃন্দ।