টি এম কামাল : কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুলছে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা। তাই এসব শিল্পকারখানায় কাজে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছে শ্রমিকরা। ভোগান্তি সঙ্গী করে কর্মস্থলে ফেরাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্য।
শনিবার (৩১ জুলাই) দিনভর সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই, আলমপু্র, সোনামুখী, নাটুয়ারপাড়া, ঢেকুরিয়া ও সিমান্তবাজাররে এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। ঢাকায় ফেরা মানুষরা জানিয়েছেন, তাদেরকে ফোন করে জানানো হয়েছে ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টস খুলছে। তাই চাকরি বাঁচাতে পথে সীমাহীন ভোগান্তি পাড়ি দিয়ে চলে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। ভাড়াও গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। বাস চালু না করে হঠাৎ করে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার এ সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকেই ওইসব এলাকায় কাজিপুর উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় লেগে আছে। তাদের হাতে-মাথায়-কাঁধে ব্যাগ। তাদের মধ্যে অসংখ্য নারী-শিশু।
এসব ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাস বন্ধ থাকায় মানুষ ভেঙে ভেঙে মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও মটরসাইকেলে চরে ঢাকায় পৌছাতে হচ্ছে। অনেকেরই গন্তব্য টঙ্গী, গাজীপুর, আশুলিয়ার পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকা।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰাম থেকে মেঘাই, আলমপু্র, সোনামুখী ও সিমান্ত বাজারে এসেও পড়েছেন অনেকে বিপদে। ট্রাক ছাড়া নেই কোনো গাড়ি।
পুলিশের ভয়ে দূরে দূরে থেকে উঠতে হচ্ছে। রাস্তায় মানুষের সারি দেখা গেছে। তারা যানবাহনের অভাবে হেঁটেই যাচ্ছেন গন্তব্যে। বেশিরভাগই কার্ভাড ভ্যানগাড়ি ও মালবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে যাচ্ছেন। মেঘাই বাজারে কথা হয় পলাশপুর গ্ৰামের বাসিন্দা পারভীন আক্তার বলেন, গাজীপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করি এখন না গেলে চাকরি থাকবে না তাই যাচ্ছি।