কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মনে ফিরে এসেছে প্রানচঞ্চলতা। এ নিয়ে পুরোদমে শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ। এখন চলছে শেষ প্রস্ততি। করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এরইমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে তা পাঠদানের উপযোগী করার জন্যও দিয়েছেন কিছু নির্দেশনা। সরকারের সকল নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে কাজিপুর উপজেলা প্রশাসনসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। যাতে সঠিক সময়েই সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেন তারা।
মেঘাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাকী বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে স্কুল খোলার সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় প্রস্তুত থাকবে আশা করি। রুপা খাতুন বলেন, অনেকদিন পরে আমাদের স্কুল খোলছে। আমরা অনেক খুশি। আমার সহপাঠীরা সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাশ করবো।
কাজিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস,এম হাবিবুর রহমান জানান, কাজিপুর উপজেলায় ১৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আরা বলেন, উপজেলায় মাধ্যমিক, নিম্ম মাধ্যমিক, কারিগরি বিদ্যালয়, ডিগ্রি কলেজ, মাদ্রাসাসহ মোট ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০টি, নিম্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩টি, কারিগরি বিদ্যালয় ৭টি, কলেজ ১৯টি, মাদ্রাসা ১১টি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক প্রস্তুতি চলছে।
কাজিপুর উপজেলার মেঘাই উচ্চ বিদ্যালয়, আলমপু্র উচ্চ বিদ্যালয়, সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চালিতাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, সহ কয়েকেটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে। ক্লাস রুমের ভিতর পরিষ্কার করে বেঞ্চগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাক্স ব্যবহার করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্মোমিটার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। এ সময় ইউএনও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হবে।