ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন আওয়ামীলীগ ভিন্ন আঙ্গিকে মোড়ক দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছে। চুরি করে, নির্যাতন করে, জেলে দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়েও ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টে মামলা হয়েছে।

এমদাদুল হক ভূট্টো জিটিভিতে কাজ করেন তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। সারাদেশে অসংখ্য সাংবাদিক, গণতন্ত্রকামী মানুষ এমন কি সাধারণ মানুষের উপরও ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টে মামলা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ মে) দুপুরে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। জনগণ এখন তার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পার্লামেন্টে আইনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি পাশ করে। এরপরে পরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালে সেই বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হয়েছে। তখন কোন অরাজকতার সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এই বিধান অমান্য করে দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থেকে পরপর দুটি নির্বাচন দিয়েছে। আওয়ামীলীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনগুলো দিয়েছে যেগুলোতে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি কারণ তারা সুষ্ঠভাবে নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্যাতন, গ্রেফতার সহ সড়যন্ত্রমূলক ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। বিএনপির প্রতিটি নেতৃবৃন্দের বাড়িতে তারা তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এইভাবে তারা আগের রাত্রেই ভোট করে ফেলতেছে। বিরোধীদল যেন
সামনে দাড়াতে না পারে তাই তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতেছি দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থেকে এরকম কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে জনগনের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে, তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। স্বাধীনভাবে নিজের ভোট তারা যাকে খুশি তাকে দিতে পারবে আমরা এরকম নির্বাচন চাই। সেই লক্ষে আমরা আন্দোলন করে চলেছি। এই আন্দোলনে হাজার হাজার নির্দোশ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তারপরেও আমরা থেমে থাকিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন এই সরকার তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবার জন্য মামলা দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যাতে কেউ ভয়ে কথা বলতে না পারে সে জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমাদের নেতা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিমসহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।